ছবি : ঢাকা ইনসাইটস
পটুয়াখালীর দুমকিতে শহীদ কন্যা কলেজছাত্রী লামিয়া আক্তারকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার চার্জশিটভুক্ত পলাতক আসামি ইমরান মুম্সী (১৭) কে গ্রেফতার করেছে পটুয়াখালী জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
শনিবার (১১ মে) বিকেল ৫টায় বরিশাল জেলার এয়ারপোর্ট থানা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
ডিবি পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। ইমরান ওই মামলার তৃতীয় আসামি হিসেবে অভিযুক্ত ছিলেন এবং দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন।
এর আগে, মামলার তদন্ত শেষে দুমকি থানার ওসি (তদন্ত) মো. রফিকুল ইসলাম গত ১ মে তিনজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন পটুয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে।
১৭ বছর বয়সী কলেজছাত্রী লামিয়া আক্তার শহীদ জসিম হাওলাদারের কন্যা। গত ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় নানাবাড়ি যাওয়ার পথে দুমকি উপজেলার রাজগঞ্জ এলাকায় তিনি সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। ঘটনার পর লামিয়া নিজেই বাদী হয়ে দুজনের নাম উল্লেখ করে দুমকি থানায় মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত শাকিব মুন্সি ও সিফাত মুন্সিকে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেফতার করে যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়।
তদন্তে উঠে আসে আরও এক অভিযুক্ত ইমরান মুন্সির সম্পৃক্ততা, যাকে চার্জশিটে যুক্ত করা হয়।
তবে এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই গত ২৬ এপ্রিল ঢাকার শেখেরটেক এলাকায় লামিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বাবার কবরের পাশে গ্রামের বাড়িতে তাকে দাফন করা হয়।
লামিয়ার মা রুমা বেগম মানসিকভাবে ভেঙে পড়লে তাকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ প্রেক্ষিতে আদালত তার মানসিক চিকিৎসা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
দুমকি থানার ওসি মো. জাকির হোসেন বলেন, “অভিযোগপত্রে বাদীর মা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আমরা সকল আসামিদের আটক করতে সক্ষম হয়েছি।
প্রসঙ্গত, লামিয়ার বাবা শহীদ জসিম হাওলাদার ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই ঢাকার মোহাম্মদপুরে পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে ১০ দিন পর মারা যান। বাবার মৃত্যুর এক বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই মেয়েটিও নির্মমতার শিকার হয়ে না ফেরার দেশে চলে যায়—যা দেশবাসীকে নাড়া দিয়েছে।
মতামত